আমাদের আজকের বিষয়বস্তুর শিরোনাম দেখে হয়তো, অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জাগিতে পারে। তাই সেই প্রশ্নগুলোকে একটু সংরক্ষণে রাখুন। পরবর্তীতে সেই প্রশ্নগুলো অনেকের কাজে আসিতে পারে। এখন মূল কথায় আসা যাক। জ্ঞান মহা-মূল্যবান সম্পদ সেটাতো আমরা অনেক আগে জেনেছি।
নিম্নে আমরা জ্ঞান ও বিজ্ঞানের মধ্যে কিছু তুলনা বা পার্থক্য আলোচনা করব।
জ্ঞান
১। জ্ঞান এর উৎপত্তি সৃষ্টির শুরুতে। ২। জ্ঞানের কোন সীমা নেই। ৩। জ্ঞান বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল না। ৪। জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে অনেক বড়। ৫। জ্ঞান ব্যাতিরেখে কখনই বিজ্ঞানের অস্তিত কল্পনা করা যাবে না। ৬। অপরদিকে বিজ্ঞানের শাখাগুলো সহ দর্শন, রাজনিতি, ধর্মবিদ্যা, কল্পনাবিদ্যা ও আরও অনেক কিছু জ্ঞানের উদাহরণ।
বিজ্ঞান
১। অপরদিকে বিজ্ঞানের উঃপত্তি মানুষের চিন্তা বা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা থেকে। ২। বিজ্ঞানের একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। ৩। বিজ্ঞান জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। ৪। বিজ্ঞান জ্ঞান থেকে অনেক ছোট। ৫। বিজ্ঞানের মূল আধারই হলো জ্ঞান। ৬। যেমন- পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা, আকাশবিদ্যা, মেশিনারাজি বিদ্যা, কৃষিবিদ্যা ইত্যাদি বিজ্ঞানের উদাহরণ।
আমরা উপরের কিছু জ্ঞান-বিজ্ঞানের পার্থক্য দেখলাম। তবে জ্ঞান ব্যাতেরেখে যেমন বিজ্ঞান চলতে পারবে না। আবার বিজ্ঞান ব্যাতেরেখে পৃথিবীর মধ্যে এত বিশাল বিশাল দালান, অফিস, শিল্পকারখানা ভাবা যাবে না। তাই জ্ঞান ও বিজ্ঞান উভয় একে অপরের পরিপূরক।