পদার্থবিজ্ঞান(Physics) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘ফুসিকে’(fusiky) থেকে যার অর্থ– ‘প্রকৃতি সম্প্রর্কিত জ্ঞান ’
পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে প্রকৃতি বিজ্ঞানের সেই শাখা যে শাখায় পদার্থ ও শক্তি,এদের ধর্ম ও প্রকৃতি,এদের পারস্পারিক সম্পর্ক ও রুপান্তর এবং এদের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অন্যভাবে, পদার্থ ও শক্তির অন্তর্নিহিত দর্শন হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞান।
পদার্থ বিজ্ঞান বলতে বুঝায়-
”বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ ও শক্তির উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণের আলোকে বস্তু ও শক্তির রূপান্তর সম্পর্কে উদঘাটন করা হয়, তাকে পদার্থ বিজ্ঞান বলে।”
পদার্থ বিজ্ঞানের ব্যাপতিঃ-
বিজ্ঞানের প্রধান চাবি হলো পদার্থবিদ্যা। পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের একটি মৌলিক শাখা। কেননা এর নীতিসমূহ বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার ভিত্তি তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ- শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞানের একটি মূল নীতি। যা হচ্ছে পরমাণুর গঠন থেকে শুরু করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দান পর্যন্ত বিজ্ঞানের বিস্তৃত এলকার মূল ভিত্তি। প্রকৌশলশাস্ত্র থেকে শুরু করে চিকিৎসা বিজ্ঞান, জ্যোর্তিষবিজ্ঞান, সমুদ্রবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এমন কি মনোবিজ্ঞান পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞানের পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতির প্রভৃতি ব্যবহার হয়। পঠন ও পাঠনের সুবিধার জন্য পদার্থ বিজ্ঞানকে বিশেষ কতগুলো শাখায় ভাগ করতে পারিঃ-
১। বলবিদ্যা ২। তাপ ও তাপগতিবিদ্যা ৩। শব্দবিদ্যা ৪। আলোকবিজ্ঞান ৫। তাড়িত বিজ্ঞান ৬। কঠিন অবস্থার পদার্থবিদ্যা ৭। পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা ৮। নিউক্লিয় পদার্থবিদ্যা ৯। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা ১০। ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইলেকট্রিক ১১। নভো পদার্থবিদ্যা
এছাড়া আরও অনেক ভাগে ভাগ করা যাবে। তবে উপরোক্ত শাখাগুলো বিশেষ এবং কাঠামোগত। যাই হোক পরবর্তী পোস্টে আমরা পদার্থবিজ্ঞানের কিছু সংক্ষিপ্ত ইঁতিহাস জানব।